প্রিয় প্রতিষ্ঠান ভান্ডারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আজ আজারো জ্ঞান পিপাসু মানুষের তীর্থস্থান। এই বিদ্যালয়টি সহ সরকারি মুুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ,হাসনা জাহান ভান্ডারী উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া কটন স্পিনিং মিল সহ বহু প্রতিষ্ঠানে তাঁদের অবদান আজও মানুষের মুখে মুখে। তাঁরা আমাদের পরিবারকে সম্মানিত করে গেছেন। যার কারণে বগুড়ার মানুষ আজও ভান্ডারী পরিবারকে স্বরণ করে। চাচা মরহুম মুজিবুর রহমান ভান্ডারী,মরহুম হাবিবুর রহমান ভান্ডারী, মরহুম মোজাফফর রহমান বুলু ভান্ডারী ও পিতা মরহুম মতিয়ার রহমান ভান্ডারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় এই প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদের মাহাত্নের প্রামাণ্যের দলিল হিসেবে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। ক্ষুদ্র একজন ব্যবসায়ী থেকে এতগুলি প্রতিষ্ঠান গড়া সসতা,মেধা এবং যোগ্যতারই নামান্তর। আমরাও এ ঘটনাগুলির কালের সাক্ষী। আমরা ভান্ডারী পরিবারের এই অবদান গুলির অংশীদার হতে পেরে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করি।পাশাপাশি তাঁদের সেই অবদানগুলির সাথে আমরাও যেন স্ব-মহিমায় সমুজ্জল হতে পারি তার প্রচেষ্টা নিরন্তর। আমি ভান্ডারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
ষাটের দশকের শেষের দিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ঢাকা শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার এক যুগেরও পর স্থানীয় জনগণের আগ্রহ ও তদানীন্তন শিক্ষা সচিব জনাব কাজি বাহার আলির আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৯ সালে ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুকরণে রংধনু আদর্শ স্কুল নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। একই বছরে কলেজ সেকশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০১ সালের ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত উত্তরা ১১ সেক্টর এলাকায় দিয়াবারি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে কলেজটি দাঁড়িয়ে আছে। রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদলে তৃতীয় হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র ছেলে এবং মেয়ে উভয় এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারে